বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন জনের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা বিরাজ করছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সমস্যা হচ্ছে বিদ্যুৎ-জ্বালানি বন্যা সমস্যা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করতেই সরকার থেকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হাতে নিয়েছেন।
যেখানে বলা হয়েছে সারাদেশে সকল অফিস আদালত সকাল আটটা থেকে দুপুর তিনটা
পর্যন্ত চলবে, সময় পরিবর্তন করা হয়েছে। তাছাড়া রাত আটটার মধ্যে সকল দোকানপাট বন্ধ
করার কথা বলা হয়েছে এবং বিভিন্ন এলাকায় জ্বালানি সংকটের কারণে লোডশেডিং দেখা দিয়েছে।
আর পড়ুনঃ এসএসসি পরীক্ষা ২০২২ নতুন রুটিন প্রকাশ – সকল বোর্ড দেখে নেও
ঢাকা সহ বিভিন্ন এলাকায় তিন থেকে চার ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকে না। গ্রামগঞ্জের সাত থেকে
আট ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকে না। এই অবস্থায় শিক্ষা জীবনে তার প্রভাব পড়েছে। শিক্ষার্থীরা
ভালোভাবে পরীক্ষা এবং পড়াশোনা করতে পারছে না। অন্যদিকে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে
সরকার থেকে যেখানে প্রায় 30 থেকে 40 শতাংশ দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। সর্বদিক থেকে বাংলাদেশে
বিভিন্ন জায়গায় অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা দেখা দিয়েছে। তা ছাড়া বন্যা এবং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা
বিষয়গুলো রয়েছে। এই অবস্থায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শনিবারে
বন্ধ থাকবে অর্থাৎ শুক্র-শনি 2 দিন থাকবে এবং ক্লাস কার্যক্রম শুধু মাত্র পাচদিন পরিচালনা করা হবে।
আর পড়ুনঃ পদ্মা সেতু – Padma Bridge Paragraph – SSC HSC Exam Paragraph
ইতিমধ্যে 5 দিন ক্লাস কার্যক্রম পরিচালনা করার নতুন ক্লাস রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে শিক্ষা
মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে শনিবার অনেক শিক্ষার্থী বাইরে যায় এবং স্কুল-কলেজে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ
ব্যবহার করা হয় সেই দিক থেকে একদিন যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে তাহলে কিছুটা হলেও বিদ্যুৎ সাশ্রয়
হবে এবং জ্বালানি সাশ্রয় হবে তাই শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তাছাড়া 2023 সালের
নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী স্বাভাবিক ভাবেই শুক্র-শনিবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এক্ষেত্রে এখনো শুক্র এবং শনিবার ক্লাস কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে বলে জানানো হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে।
আর পড়ুনঃ
এসেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায় বর্তমানে নিয়ম কার্যকর করা হচ্ছে আগামী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত
এ নিয়ম কার্যকর থাকবে। তাছাড়া সামনের বছর থেকে নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত এমনিতেই
কার্যকর করার কথা ছিল কিন্তু সরকারকে সহযোগিতা করতে এখনই এই নিয়ম কার্যকর করা হচ্ছে।
এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা বলেন শুক্র এবং শনিবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দেওয়ায় তারা যথেষ্ট সময় পাচ্ছে পড়াশোনা করার
এবং বাইরের সময় দেওয়ার কারণ এর আগে তারা পড়াশোনার প্রচুর চাপ থাকতো কিন্তু এখন তারা উপলব্ধি করতে পারছে না।
Add comment