বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েট ছাত্র ফারদিন হত্যা মামলার জট খুলতে যাচ্ছে। ডেমরার রুপগঞ্জ চনপাড়া বস্তি একটি সংঘবদ্ধচক্র এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত বলে তথ্য পাওয়া গেছে। একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান। এক নারী শাসক লগ্ন এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। তার বাসাটির 8 নম্বর ওয়ার্ডে তিনি সেই নম্বর ওয়ার্ডের মাদক সম্রাট হিসেবে পরিচিত।

মাদক স্পটে গিয়ে ফাঁদে পড়ে ছিলেন এরপর থেকে জিম্মি করা হয়েছিল আরো বেশকিছু নতুন আলামত পেয়েছে গোয়েন্দারা। তবে এখানে ফারদিনের সঙ্গে আরও একজন তরুণ ছিল বলে ধারণা করা যাচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে তার নাম জানা গেছে পলাশ।

আরও পড়ুনঃ বরিশালে বিএনপি’র বিশাল সমাবেশ লক্ষ লক্ষ মানুষ উপস্থিত

একটি সূত্র জানিয়েছে তার বাড়ি রামপুরায়। পলাশ হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে পারে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে ওই দিনের পর থেকে পলাশী কোন ধরনের খোঁজখবর নিয়েছেন। তবে এখনো নিশ্চিত হয় কোন কিছুই বলা যাচ্ছে না বিষয়টি অনুসন্ধান এর মধ্যে রয়েছে।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান ফারদিনের ঘটনায় চাম্পারায় মাদকের চক্র যাদের নাম পাওয়া গেছে। তাদের সঙ্গে চাঁদপুরে ওই নারীর সাথে যোগাযোগ রয়েছে। অপারেশনের নিহত রাশেদুল ইসলাম , সিটি শাহিন এর বাসায় কাছাকাছি মহিলা মাদক কারবারি কাজ করেন।

প্রযুক্তিগত বিভিন্ন তথ্যের মাধ্যমে জানা যায় ২ টি অপারেটরের সিম ব্যবহার করতেন। যেখানে গ্রামীন সিম 4 নভেম্বর বিকাল 4 টার দিকে তিনি বন্ধ করে দেন এবং এগারোটার দিকে পাওয়া যায়।

এরপর দুইটা পর্যন্ত তিনি মেসেঞ্জারে এক বান্ধবীর সঙ্গে কথা বলেন ধারণা করা যাচ্ছে। ওই রাতে ফারদিনের পাশাপাশি এমন কেউ ছিলো যার ইলেকট্রনিক ডিভাইস থেকে ইন্টারনেট কানেকশন নিয়ে বান্ধবীর সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন।

পুলিশের অন্তত দুইজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় ফারদিন হত্যাকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত থাকার কোনো তথ্য পায়নি 4 নভেম্বর রাত দশটার দিকে রামপুরা বাজার ব্রিজ এলাকায় ফারদিন এর পরবর্তীতে বাসায় চলে যান ঐদিন রাতে তিনি আর বের হননি।

গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন মামলাটি তদন্ত করছে হত্যাকাণ্ডের পেছনে ঘটনার রহস্য উন্মোচনের নানান বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে হত্যাকাণ্ডের পেছনে যারা জড়িত থাকুক তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

বিকল্প নিউজ ডেস্ক

View all posts

Add comment