বাংলাদেশকে দু’টুকরো করে ফেলার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায়। kuki chin national front এলাকায় নামের একটি সংগঠন ইতোমধ্যে মাঠে নেমে পড়েছে।

প্রকাশ করেছে নিজস্ব পতাকা ও মনগড়া মানচিত্র এবং জাতীয় সংগীত। সেনাবাহিনীর পোশাক গায়ে অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে রীতিমতো

যুদ্ধ প্রস্তুতি শুরু করেছে পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠন। সদস্যদেরকে দেয়া হচ্ছে কঠোর থেকে কঠোরতম কমান্ডো প্রশিক্ষণ ।

এর উদ্দেশ্য অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করে আলাদা রাজ্য করা যার নাম হবে kuki chin national state.

বান্দরবানের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় kuki chin national front এর বিভিন্ন তৎপরতার ভিডিও তাদের ইউটিউব চ্যানেলে নিয়মিত আপলোড করা হয়।

আরও পড়ুনঃ How to keep your eyes healthy – Eye Care Tips

কখনো তারা ভারী অস্ত্র এবং রসদপত্র নিয়ে সুউচ্চ পাহাড় অতিক্রম করছে কখনো জীবিত সাহাবী ধরে ধরে খাচ্ছে কখনো গাইছে নিজেদের জাতীয় সংগীতের।

মূল দাবি একটি ভিডিওতে প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে রাঙ্গামাটি খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবান নিয়ে আলাদা kuki chin national গঠনের দাবি জানিয়েছে।

kuki chin national front তাদের সামরিক পোশাক অত্যাধুনিক অস্ত্র এবং যোগাযোগ সরঞ্জাম সহ যাবতীয় রসদপত্র মিয়ানমার

থেকে সংগ্রহ করে বলে ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি জাতীয় দৈনিকে জানানো হয়েছে। বান্দরবান সীমান্তের ওপারে চীন নামে মিয়ানমারের

যে রাজ্যটি রয়েছে সেখানে মূলত চীন ন্যাশনাল আর্মি বাঁচিয়ে অত্যন্ত শক্তিশালী সশস্ত্র সংগঠনের উপস্থিতি রয়েছে।

যারা মিয়ানমার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আলাদা রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে চায়। মূলত সীমান্তের ওপারের এরকম কয়েকটি সংগঠনের কাছ থেকে অস্ত্র

এবং সামরিক প্রশিক্ষণ পেয়ে থাকে বাংলাদেশের kuki chin national fron। সংগঠনের প্রধান হচ্ছেন নাথান বম যিনি পড়াশোনা করেছেন ঢাকা

বিশ্ববিদ্যালয় এবং 2018 সালে বান্দরবান থেকে সংসদ নির্বাচনের পদপ্রার্থী ছিলেন। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে বাংলাদেশের

পার্বত্য এলাকায় চাকমা এবং মারমা জনগোষ্ঠী অত্যন্ত প্রভাবশালী এবং পার্বত্য শান্তি চুক্তির আওতায় এ অঞ্চলের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা ভোগ

করে সেই তুলনায় কম অনেক উপজাতি গুলো অবহেলা ফলে তাদের মধ্যে চাকমা মারমা এবং মূল বাঙ্গালীদের প্রতি যে ক্ষোভ বিদ্যমান।

সেটিকে কাজে লাগিয়ে তাদেরকে নাথান বম সশস্ত্র বিপ্লবের পথে নিয়ে এসেছেন। সেনাবাহিনী নয় বরং যেকোনো সময় পাহাড়ের চাকমাদের শান্তি

আরও পড়ুনঃ How to keep your eyes healthy – Eye Care Tips

বাহিনীর সাথে যুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে kuki chin national fron। এদিকে পাহাড়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিরোধী কার্যক্রমের জন্য

শুধু kuki chin national fron নয় বরং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি বা জেএসএস প্রধান সন্তু লারমাকে সরাসরি দায়ী করেছেন বান্দরবান

জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান। একটি পত্রিকাকে দেয়া তার বক্তব্য মধ্যেই সন্তু লারমা পার্বত্য

চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করে আলাদা জুমল্যান্ড প্রতিষ্ঠার চেষ্টা এখনো চালিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার 1997

সালে তার প্রথম মেয়াদে পাহাড়ে সন্ত্রাসীদের সাথে শান্তি চুক্তি করেছিলেন সেটি অংশ হিসেবে সন্তু লারমা একজন মন্ত্রীর

যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে থাকেন। কিন্তু তিনি শান্তি চুক্তির প্রধান দুটি শর্ত মানছে না। শান্তি চুক্তির আওতায় অসংখ্য

সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহারসহ সরকার বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদান করলেও আজ পর্যন্ত সন্তু লারমার সন্ত্রাসী বাহিনীর অস্ত্র জমা

দেয়নি পাহাড়ি এলাকায় চাঁদাবাজির মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা উত্তোলন করে তারা পৃথক জুমল্যান্ড প্রতিষ্ঠার জন্য অস্ত্র। বাংলাদেশকে দু’টুকরো

বিকল্প নিউজ ডেস্ক

View all posts

4 comments