গতকাল খুলনায় প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনা আশ্বাস দিলেন লাঞ্ছনার শিকার নারী ফুটবলার দের পাশে থাকার জন্য। ৪ আগস্ট শুক্রবার দুপুরের দিকে বটিয়া ঘাটা উপজেলার তেতুল তলা স্কুলে-
খুলনা ২ আসনের সংসদ সদস্য সালাউদ্দিন জুয়েল বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তিনি এ আশ্বাস দেন খুলনার নারী ফুটবলার।
নারী ফুটবলার ভুক্তভোগী সাদিয়া নাসরিন বলেন দুপুর 2 টার দিকে খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা প্রশাসন পুলিশ প্রশাসন এবং
স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্য কর্মকর্তারা বটিয়া ঘাটা উপজেলার তেতুল তলা স্কুলে লাঞ্ছনার শিকার হওয়া এক নারী ফুটবলারের কথা শোনেন তারা।
ঐ সময় সেখানে উপস্থীত ছিলেন সংসদ সদস্য শেখে জুয়েল তিনি বলেন নারী ফুটবলারদের লাঞ্ছনার বিষয়টি খুবি দুঃখ জনক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুনেছেনবিষয়টি। প্রধানমন্ত্রী তিনি নারী ফুটবলারদের পাশে থাকার জন্য আশ্বাস দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন নারী ফুটবলারদের পুরাপুরি নিরাপত্তা বিধানসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
আরো পড়ুনঃ খেলাধুলা সম্পর্কি সকল তথ্য পেতে
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী নারী ফুটবলারদের জন্য স্থানীয় মাঠটি সংস্কারসহ একটি একাডেমি করে দেবার আশ্বাস দেন। এছারাও জেলা
ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম বলে
খুলনা ২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল আমাদেরকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে নারী ফুটবলারদের কাছে পাঠানো হয়েছিল।
তখন আমরা তাদের কথা গুলো শুনেছি এবং তাদের বলেছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লাঞ্ছনার শিকার নারী ফুটবলারদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।
তখন আরো উপস্থিত ছিলেন খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পুলক দে, বটিয়াঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম খান,
বটিয়া ঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ নূরুল আলম সহ স্থানীয় জলমা ইউপি চেয়ারম্যান বিধান রায়, বটিয়া ঘাটা থানার
ওসি শওকত কবিরসহ আরও অনেকে সেখানে। ২৯ জুলাই রাত ৮টা থেকে প্রায় ১০টা পর্যন্ত বটিয়া ঘাটা উপজেলার তেতু লতলা
গ্রামের চার নারী ফুটবলারকে বিভিন্ন ভাবে শারীরিক ও মানশীক নির্যাতন চালায় নুরুল আলম খান ও তার স্ত্রী রঞ্জি বেগম।
মেয়ে নূপুর খাতুন ও ছেলে সালাউদ্দিন খান নামে কয়েকজন হাত-পা বেঁধে রাখার দুই ঘণ্টা পর ফুটবলার মঙ্গলীকে উদ্ধার করে,
স্থানীয় তেঁতুল তলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে প্রশিক্ষণরত সুপার কুইন ফুটবল একাডেমির কর্মকর্তারা। এ ঘটনায়
সাদিয়া নাসরিন 30 জুলাই চার জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেন। এরপর থেকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় ১লা আগস্ট সাদিয়া নাসরিন বটিয়া ঘাটা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন বলে জানা গেছে। এছারাও
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে অভিযুক্তদের আইনের আওয়াতায় এনে যথা যথ শাস্তি প্রদানের ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
Add comment