বর্তমানে রাজধানীসহ সারাদেশে চোখ ওঠা রোগের প্রবণতা বেড়েছে। রোগটি সম্পর্কে অনেকেই সঠিক তথ্য না জানার কারণে বিভিন্ন খারাপ পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছে।

চোখ ওঠা ভাইরাসের লক্ষণ গুলো হলোঃ

  • চোখের নিচের অংশ লাল হয়ে যাওয়া
  • চোখে ব্যথা খচখচ করা বা অস্বস্তি
  • প্রথমে একচোখা আক্রান্ত হবে তারপর অন্য চোখ ছড়িয়ে পড়ে
  • এ রোগে চোখ থেকে অনেক পানি পড়তে থাকে
  • চোখের নিচের অংশ ফুলে যায় এবং চোখ লাল হয়ে যায়
  • চোখ জলে এবং প্রচুর চুল কাটা থাকে
  • আলোচকের অস্বস্তি তৈরি হয়

আরও পড়ুনঃ বিশ্বের সেরা 10 ধনী তালিকা প্রকাশ 2022 – Top 10 rich people

এই রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন এই রোগটি ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া এই দুই কারণে হতে পারে। যাদের চোখে জ্বালাপোড়া সঙ্গে ময়লা আসে তাদের সেটা ব্যাকটেরিয়া ইনফেকশনের মাধ্যমে হয়। শুধুমাত্র ভাইরাল ইনফেকশন হলে চোখে জ্বালাপোড়া করে এবং লাল হয়ে যায়। এক্ষেত্রে চোখে হাত দেওয়া যাবেনা এলার্জি হয় এমন খাবার সবসময় এড়িয়ে যাওয়া ভালো।

তাছাড়া চিকিৎসকরা আরো বলেন এ রোগ নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কিছুদিন ঘরে থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিলে এটির সুস্থ হয়ে যাবে। মূলত চোখে হাত না দিলে তারাতারি সুস্থ সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এতে ভয়ের তেমন কিছু নেই। ৭ থেকে ৮ দিনের মধ্যে এটি ভালো হয়ে যায় যদি সাত দিনের মধ্যে ভালো না হয় তাহলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।

চোখ উঠলেরোগী সুস্থ হতে কি কি করণীয় তা হলঃ

  • সাবান পানি দিয়ে কিছুক্ষণ পরপরই হাত পরিষ্কার করতে হবে
  • কোন কারনেই চোখ ভেজা থাকলে চোখের টিসু পেপার দিয়ে মুছে নিতে হবে। অবশ্যই ময়লার ঝুড়িতে ফেলে দিতে হবে, না হলে ব্যবহার টিস্যু পেপার থেকে আবার সংক্রমণ ছড়াতে পারে।
  • চোখ উঠলে চশমা ব্যবহার করতে হবে, এতে চো খ ধুলাবালু এবং থেকে রক্ষা পাবে।
  • চিকিৎসকের পরামর্শে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে পারেন।
  • নিজে ব্যবহার করা প্রসাধনী ও ব্যক্তিগত কাপড়-চোপড় অন্য কাউকে ব্যবহার করতে না দেওয়া। একইভাবে অন্য কোন ব্যবহার করা জিনিসপত্র নিজে ব্যবহার না করা।
  • চোখে চুলকানো যাবে না অন্য কারো আই ড্রপ ব্যবহার করা যাবে না।
  • প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে
  • ভিটামিন সি এর পাশাপাশি সুষম খাবার খেতে হবে
  • এ সময় পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানো দরকার

বিকল্প নিউজ ডেস্ক

View all posts

10 comments