ক্লাস চলাকালিন সময় এক শিক্ষার্থী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মৃত্যু বরন করে। এমন একটি মরমান্তিক ঘটনা ঘটে কুমিল্লার দাউদকান্দির গৌরোপুর
সুবল আফতাব উচ্চ বিদ্যালয়। গতকাল ৬ জুন মঙ্গলবার ষষ্ঠ শ্রেনীর শিক্ষার্থী হাবিবা আক্তার ক্লস চলাকালিন সময় হঠাৎ বমি করতে করতে অজ্ঞান হয়ে পরে যায়,
এইচএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ ২০২৩ – সকল বোর্ড রুটিন দেখুন
পরবর্তিতে সেই শিক্ষার্থী মৃত্যুবরন করেন। পরবর্তিতে গনমাধ্যমের সাথে মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছে উপজেলার স্বাস্থ্য
কর্মকর্তা ও বিদ্য়ালয়ের প্রধান শিক্ষক। যেই শিক্ষার্থী মারা গেছে তার নাম হাবিবা আক্তার ,বয়স ১২ বছর ,তিতাস উপজেলার
নাগেরচর গ্রামের জিয়াউল হকের মেয়ে। দাউদকান্দির গৌরোপুর সুবল আফতাব উচ্চ বিদ্যালয়ের নিয়মিত ৬ষ্ঠ শ্রেনীর এক জন ছাত্রি।
বিদ্যলয়ের প্রধান শিক্ষক জানায় ঐ শিক্ষার্থী বাসা থেকে কিছু না খেয়ে খালি পেটে ইস্কুলে চলে এসেছিল, তাকে নাস্তা খাওয়ানোর
জন্য তার মা রুটি ভাজি এবং সাথে তালের শ্বাস নিয়ে ইস্কুলে আসে তাকে খাওয়ানোর জন্য। হাবিবা সুধু মাত্র তালের শ্বাস খেয়েই শ্রেনী কক্ষে প্রবেশ করে।
SSC পরীক্ষার পর অবসর সময় কি কি করা যেতে পারে ?
এর কিছুখন পর পরি তার বমি শুরু হয়ে যায় এবং এক পর্যায় সে বমি করতে করতে অজ্ঞান হয়ে পরে।উন্যতি না দেখলে সাথে সাথে
তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার কর্মরত চিকিৎসক হাবিবাকে ঢাকায় উন্যতো চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে বলেন,
কিন্তু ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথেই বমি করতে করতে তার মৃত্যু হয়। অন্য দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেম গুলোতে গুজব আকারে
ছরিয়ে পরে ৬ষ্ঠ শ্রেনীর শিক্ষার্থী হাবিবা তিব্র গরমের কারনে মারা গেছে। তবে ডাক্তার এব্যাপারে এখন পর্যন্ত কিছুই জানায়নি।
তাছাড়া সিভিল সার্জন বলেন ময়না তদন্তের রিপোর্ট ছাড়া মৃত্যুর সঠিক কারন বলা যাচ্ছে না। তবে যাদের বয়স ১৫ বছর এর নিচে
তারা যেন এই তিব্র গরমে খালি পেটে অতিরিক্ত পরিমানে লিচু এবং তালের শ্বাস জাতীয় খাবার গ্রহন না করে। বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে
ক্লাস কার্যক্রম পরচিালনা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যলয় ক্লাস কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা করা হলেও ইস্কুল বন্ধ করা সম্ভব হয়নি,
কারন স্কুল কলেজে এখন বর্তমানে পরীক্ষা চলছে, তবে এই অবস্থায় শিক্ষাথীরা খুব খারাপ একটা পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।
সর্ব শেষ জানা গিয়েছে অনেক শিক্ষার্থীরা তিব্র গরমে অসুস্থ হয়ে পরছে। গরমের কারনে অন্য দিকে বিদ্যুতের সমস্য দেখা দিয়েছে,
যেখানে অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ থাকছে না। লোডশেডিং এর পরিমান প্রচুর হারে বেড়ে গেছে এই অবস্থায় স্কুল কলেজে বিদ্যুৎ
নিয়ে সমস্য তৈরি হচ্ছে। এক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অথবা সরকারের উচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখা।
Add comment