নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে প্রায় 20 লাখের অধিক শিক্ষার্থী চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষা ২০২২ ইতিমধ্যে অংশগ্রহণ করেছে।

এক্ষেত্রে তাদের পরীক্ষা শেষের দিকে শিক্ষকদের কাছে পরীক্ষার উত্তরপত্র চলে গেছে।

যে উত্তরপত্র দেখে শিক্ষকরা খাতায় নম্বর প্রদান করবে এবং পরবর্তীতে বোর্ডের কাছে পাঠানো হবে।

শিক্ষা বোর্ড তার ওপর ভিত্তি করে রেজাল্ট তৈরি করবে এবং সে রেজাল্ট প্রকাশ করা হবে।

কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এবারের পরীক্ষা শিক্ষার্থীরা নানান ধরনের প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে দিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ

তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা। এই সমস্যার মধ্যে শিক্ষার্থীরা ভালো পরীক্ষার

প্রস্তুতি নিতে পারেনি। তাই শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পরীক্ষাতে পাশ করিয়ে দেওয়া নিয়ে

গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মূলত অনেক শিক্ষার্থী এক বা দুই নম্বরের জন্য ফেল করবে।

কারণ এখানে নম্বর রূপান্তর করা হচ্ছে। এক নম্বর কে দুই নম্বরে রূপান্তর করা হচ্ছে।

দুই নম্বর চার নম্বর রূপান্তর করা হচ্ছে। যেহেতু পাস করার সহজ হবে এবং ফেল করা

সহজ হবে সেই জায়গা থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে সকল শিক্ষার্থীরা

এক বা দুই নম্বরের জন্য ফেল করবে। তাদেরকে সে 2 বা 1 নম্বর দিয়ে পাস করিয়ে দেয়া হবে।

তবে সেটি সম্পূর্ণ আনঅফিসিয়াল প্রসেস এর মাধ্যমে অর্থাৎ এ বিষয়ে গণমাধ্যমে শিক্ষা

মন্ত্রণালয় জানায় নি। তবে শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানা যায় শিক্ষার্থীরা সৃজনশীল প্রশ্নের

ক্ষেত্রে 1 বা 2 নম্বর কম পাবে। সেখানেই তারা খাতাতেই 1 বা 2 নম্বর দিয়ে পাস করিয়ে দিবে।

যে সকল শিক্ষার্থী একদমই পরীক্ষার খাতায় লিখতে পারেনি তাদেরকে অবশ্যই পাস করে

আরও পড়ুনঃ

দেয়া সম্ভব নয়। সেখানে তারা ফেল করবে। তাছাড়া যারা লিখেছে তাদেরকে এক নম্বর দেয়া হবে।

তাছাড়া যেসব শিক্ষার্থী পরীক্ষা ভুল উত্তর লিখেছে কিন্তু সে লিখতে পেরেছে তার জন্য

তাকে কিছুটা নম্বর দেয়া হবে, এক্ষেত্রে কত নম্বর দেয়া হবে তা কোন শিক্ষকের বলতে আগ্রহী নয়।

সেই থেকে বলা যায় এবারের পাশের সংখ্যা অনেক বাড়বে অর্থাৎ প্রতিটি বোর্ডে পাসের হার বেড়ে যাবে।

এক্ষেত্রে দিনাজপুর বোর্ডে কয়টি প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার কারণে হয়তোবা সেখানে

পরীক্ষা কিছুটা খারাপ হতে পারে কারণ সেখানে প্রশ্নও তো আরো কঠিন হতে পারে।

বিকল্প নিউজ ডেস্ক

View all posts

Add comment